রহমত নিউজ ডেস্ক 15 January, 2023 07:23 PM
৫৬তম বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের গণশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী, মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। আজ (১৫ জানুয়ারি) রবিবার ইজতেমায় তিনদিন অবস্থান করে শেষ দিন দোয়ার পর আখেরী মুনাজাত শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।
মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই প্রথম আমি এসেছি এ বিশ্ব ইজতেমায়। বাংলাদেশের ৫৬তম ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আলহামদুলিল্লাহ। হজ ওমরার পর সবচেয়ে বড় মুসলিমদের জমায়েত এ ইজতেমা। তাদের ব্যবস্থাপনা আলহামদুলিল্লাহ খুবই সুন্দর। লাখ লাখ মানুষের জমায়েত। আল্লাহ তায়ালার পথে দীনের দাওয়াত দিতে তারা একত্রিত হয়েছেন। আমি এক মুরব্বিকে জিজ্ঞেস করলাম এ জায়গাটা কে দিয়েছেন। তিনি জানালেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এ জায়গা দিয়েছেন। আপনাদের কাগজপত্র আছে কি না। দলিল আছে কি না। এটা যাচাই করবেন।
তিনি বলেন, আমি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ পড়াশো করেছি। দেওবন্দে সব দেশ থেকে ছেলেরা আসছে, পড়াশোনা করছে। ইউরোপ থেকে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার অনুমতি নেই। এ বিষয়টা আমার ভালো লাগেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবো বাংলাদেশের সন্তানরা যেনো লিগেলি দেওবন্দে পড়াশোনা করতে পারে। আলেমরা অবশ্যই সরকারের কাছে যেতে হবে। সরকার তাহলে আপন মনে করবে। আমি মমতা সরকারের ৭ বারের এমপি। আমি কাছে যাওয়ার কারণেই আমাকে তারা বুঝতে পেরেছে। তাই সরকারের কাছে যেতে হবে। সমস্যার কথা জানাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই যে আমরা বাংলাদেশের খবর রাখি আপনারা প্রতিবেশী হওয়ার কারণে। আমাদের আটটি বর্ডার এ দেশের সাথে লাগোয়া। আমরা না চাইলেও আপনাদের সাথে সম্পর্ক। আপনাদের ছাড়া আমাদের চলবে না। আমাদের ছাড়াও আপনাদের চলা মুশকিল। তাই আপনাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। আছে থাকবে ইনশাআল্লাহ। দেশ যেনো ওলামাদের দিকে নজর দেয়। তারা নবিদের ওয়ারিস। তারা কখনো কারো ক্ষতি করবে না। ক্ষতি করার চিন্তাও করবে না।
উল্লেখ্য, মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমাদ। রবিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া মোনাজাত চলে প্রায় পঁচিশ মিনিট। দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এতে অংশ নেন।